
গৃহবধূ সাজেদা বেগম বেবী হত্যার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রবিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী সিদ্দিক গাজীকে ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। রায়ে বেবীর শ্বশুর, শাশুড়ী, দেবরসহ চার আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়,সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব রাণীপুর গ্রামের হাসেম গাজী, তার স্ত্রী পারুল বেগম, তাদের ছেলে সিদ্দিক গাজী, খোকন গাজী ও খোকনের বন্ধু লিটন। এ হত্যা মামলার রায় ঘোষনার সময় শুধুমাত্র আসামি পারুল বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী কমল কান্তি দাস। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২১ জুলাই স্বামীর বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর উরবুনিয়া গ্রাম থেকে নববিবাহিতা সাজেদা বেগম বেবীর লাশ উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে বাবা আবদুল আজিজ বেতাগী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, ঘটনার মাত্র তিন মাস আগে বেবীকে বিয়ে দেয়া হয় সিদ্দিকের সঙ্গে। নববধূ রেখে সিদ্দিক ঢাকা গেলে খোকন ও লিটন ভাবীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। বেবী ক্ষিপ্ত হয়ে দেবর খোকনকে জুতাপেটা করেন। সিদ্দিক বাড়িতে ফিরলে স্ত্রী সম্পর্কে অভিযোগ শোনেন ভাইয়ের কাছে থেকে। চরিত্র নিয়ে নানা কথা বলার পাশাপাশি সিদ্দিক এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরের কাছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী সিদ্দিকসহ আসামিরা বেবীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এরই এক পর্যায়ে বেবী মারা যান।
বরগুনা প্রতিনিধি
No comments:
Post a Comment