Surfe.be - Banner advertising service

Thursday, September 12, 2019

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার আলামত হিসেবে ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ জব্দ, আদালতে পিপি


Image result for নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ।

ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার নুসরাত হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় দিন মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ আলামত জব্দের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তবে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি। অসমাপ্ত বক্তব্য আগামী রোববার উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

পিপি হাফেজ আহম্মদ আদালতে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ঘটনার পর মাদ্রাসার ছাদসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সোনাগাজী থানা-পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেন।
হাফেজ আহম্মদ বলেন, গত ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষার আগে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে অগ্নিদগ্ধ করার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সোনাগাজী থানা-পুলিশের শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) ডিএইচএম জহির রায়হান ঘটনাস্থল মাদ্রাসার ছাদে গিয়ে একটি কালো রঙের কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন, একটি সবুজ রঙের সালোয়ারের পোড়া অংশ, বাটিকের ওড়নার পোড়া একটি অংশ, একটি পাথরের পুথির কাজ করা কালো রঙের আগুনে পোড়া বোরকা, এক জোড়া নেভি ব্লু রঙের জুতা, ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ ও একটি নীল রঙের রাবারের ম্যাট উদ্ধার করেন।
পুলিশের করা জব্দের তালিকায় বলা হয়, কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন ও পোড়া ম্যাচের কাঠি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। ম্যাট সাইক্লোন সেন্টারের নিচ থেকে নুসরাতের গায়ে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বাকি আলামতগুলো নুসরাত জাহানের পরনে ছিল।
সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ বলেন, ‘নুসরাতের গায়ে আগুন লাগানোর সময় আসামিদের যাতে চেনা না যায়, সে কারণে শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের ও উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা ওরফে শম্পা বোরকা ব্যবহার করেন। বোরকাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া শাহাদাত হোসেন শামীম বাজারের যে দোকান থেকে কেরোসিন কেনেন, সেটাও শনাক্ত কারা ও জব্দ করা হয়েছে। শামীমের মোবাইলটিও জব্দ করা হয়।’
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল তাঁর ভাই মাহমুদুল হাসান আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি ১০ এপ্রিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম তদন্ত শেষে ২৯ মে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ৫ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অভিযোপত্রভুক্ত ১৬ জন আসামির মধ্যে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১২ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

No comments:

Post a Comment

Surfe.be - passive income