Surfe.be - Banner advertising service

Monday, September 30, 2019

নার্স ও আয়ার অস্ত্রোপচারে নবজাতকের মৃত্যু

নার্স ও আয়ার অস্ত্রোপচারে নবজাতকের মৃত্যু
নার্স ও আয়া দিয়ে অস্ত্রোপচারের একপর্যায়ে এমন অঘটন ঘটে। কেটে রক্তাক্ত করা হয় নবজাতকের মাথা। তাই বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। রাজৈরের টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ছবি : কালের কণ্ঠ

মাদারীপুরের রাজৈরে নার্স ও আয়ার অস্ত্রোপচারে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়  প্রসূতি হাফসা বেগমকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর প্রভাতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা গ্রামের সাদ্দাম শেখের স্ত্রী হাফসা বেগমের প্রসববেদনা শুরু হয় রবিবার রাত ১২টার দিকে। পরে দ্রুত তাকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার না থাকায় কথিত নার্স ও আয়া দিয়ে সন্তান প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা করা হয়। টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে প্রসূতির গোপনাঙ্গ কেটে বাচ্চা বের করার সময় বাচ্চার মাথা কেটে যায়। পরে রাত ১টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে তাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলে। হাফসার স্বজনরা তাকে রাতেই ফরিদপুর নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হাফসা বেগম এখন ফরিদপুর বেসরকারি প্রভাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাফসার মামা মাসুদ শেখ জানায়, টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় নার্স ও আয়া দিয়ে টানাহেঁচরা করে আমার ভাগ্নির বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। ভাগ্নির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
সিটি হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমাদের হাসপাতালে আনার আগেই বাচ্চাকে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে আমাদের এখানে ভর্তি করে। আমরা প্রসব করানোর পরে দেখি বাচ্চা মৃত। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল জানান, ঘটনা আমি শুনেছি। সিটি হাসপাতালে গিয়ে সবকিছু জেনে ব্যবস্থা নেব।
কালের কণ্ঠ
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

No comments:

Post a Comment

Surfe.be - passive income