
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুটি হলের তিনটি কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে।
আজ শনিবার হলের কক্ষগুলো সিলগালা করে প্রশাসন।
সিলগালা করা কক্ষের মধ্যে আহসানউল্লাহ হলের ১২১ নম্বর রুম রয়েছে, যেটা অফিস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হত। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামী উস সানীর ৩২১ রুমও সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আবরার হত্যা মামলার আসামী মেহেদী হাসান রাসেলের ৩০১২ নম্বর রুম সিলগালা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি জামী উস সানী বলেন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকরা এসে আমার রুম সিলগালা করে দিয়েছে। এছাড়াও বুয়েট ছাত্রলীগের অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত আহসানউল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে।
আবরার হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। এর মধ্যে পাঁচটি দাবি অত্যন্ত জরুরি এবং সেগুলো মেনে না নিলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গতকাল রাতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং আবরার হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি অন্য দাবিগুলোও পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন ভিসি। এরপর ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা আগামীকাল রবিবার ও পরদিন সোমবারের আন্দোলন স্থগিত করেন।
No comments:
Post a Comment